অভিব্যক্তি

অভিব্যক্তি

বয়সের সাথে সাথে উচ্চারন বদলে যায় । হাতের লেখা বদলে যায় । ঘটনাটি ঘটে কারো কারো সচেতন ভাবে, আর কারো কারো জানতে অনেক সময় লেগে যায় ।  সাহিত্য আসরে গিয়ে বিভিন্ন কবির সাথে ভাব বিনিময় করে দেখি তাদের কবিতা আমার ভাল লাগছে না । আমার কবিতাও তাদের ভালো লাগছে না । কোন কোন কবির কবিতা আবার মনে হচ্ছে সম্পাদকীয়, আর তারা আমার কবিতায় রস পাচ্ছে না ।

এক আশির দশকের কবিকে চোখ কান নাক বুজে জিজ্ঞেস করে ফেললাম,
"ইয়ে, মানে, আপনার কবিতায় পাঠক রস পাচ্ছে না"

উনি ভাবগম্ভীর করে শূন্যের দিকে তাকিয়ে চশমাটা মুছে আমার দিকে তাকালেন ।  বললেন
"এক খানা রসালো কবিতা তুমি দেখাও তো হে"

আমার কবিতা পাঠের আসরের যে কাহিনীটির আমি উপস্থাপনা করেছি, এতে আমার এই রকম লঘু উপলব্ধি হয়েছে পাঠকই শেষ কথা, পাঠকই কবিতার গুনাগুন বিচার করেন  । কিন্তু পাঠক বেছে নিতে হয় । পাঠকের রকম ফের আছে । সিগনেচার বদল হয়ে যাবার ভয়ে যারা 'অন্য' পাঠকের জন্য  'অন্য' ধরনের কবিতা লেখেন না, তারা আসলে সহিষনুতার পাঠে বিশ্বাস করেন না । অন্যের বিশ্বাসে প্রতি তার অধিক অনাস্থা । তিনি একটু সাম্প্রদায়িক ও বটে । কিংবা বলা যায় কিছুটা অহংকারী । অবশ্যই যিনি শাহরুক খানকে পছন্দ করেন তিনি ইরফান খান কে পছন্দ নাও করতে পারেন কিংবা উলটোটা । রবি বাবু এই ব্যাপারে সর্বগমনে বিশ্বাস করতেন, যদিও ওনার কবিতাকে আজ কালের মারে বোধহয় আর আধুনিক বলা হয় না  ।

No comments:

Post a Comment