পাঠকামি -১৪
কোন কোন কবির সাথে দেখা হয়না, কবিতার সাথে যাপন হয়ে ওঠে না, একটা বোধ ক্রমে ক্রমে বেঁধে ফেলে নিমগ্ন পাঠের ভিতর । একটা একটা পাতা নতুন দিগন্ত খুলে দেয় , একটা একটা পাঠ ঘামিয়ে দেয় গা । আজ পড়ছি এক তরুন কবির বই অসম্ভব পাখিদের ওম । বইটি আমি দিল্লি বইমেলা থেকে সংগ্রহ করি ।
অসম্ভব পাখিদের ওমঃ প্রশান্ত সরকার ।
"পর্যাপ্ত আগুন পেলে, খামতি থাকে না সৎকারে
শুধু পাখিরাই ঠোঁট রেখে ঠোঁটে
নিরঙ্কুশ পুড়ে যেতে পারে "
পাখি নিয়ে কবিতা এই প্রথম নয়, কিন্তু যে পোড়াটা জ্বালাচ্ছে সেটা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ । 'পর্যাপ্ত' কথাটার উপর জোর দিলে এমন একটা ব্যালান্সের খেলা চলে আসে কবিতায় । কবিতাকে উড়িয়ে দেন এক অচেনা গন্তব্যের দিকে কিন্তু একটা টান মাটিতে থাকে ।
"জলমগ্ন মাটি জুড়ে গাছ হইয়ে থাকি
পতঙ্গ ছায়া দেখে, ছায়া , মানে পাখি " - নির্দিষ্ট জলের ছায়া থেকে ।
প্রশান্তের কবিতা এই প্রথম পড়ছি, যে ভাষাটা পাচ্ছি, বিলকুল ঝকঝকে, পরিষ্কার বিষয় আসে কিন্তু সেই ব্যালান্সটা রেখে । কল্পনা শক্তি অসাধারন, জ্বারিয়ে নেয় একটা অস্পষ্টতার আয়োজন । আসলে আলো ছায়ার একটা খেলা চলতে থাকে তার কবিতায় ।
"এভাবেই বেড়ে ওঠে রোজ
ঝেড়েবেছে সযত্নে তুলে রাখি সংসারে
অথচ ঘুমের বিকল্প ধান
চুপি চুপি রোজ ভাত বাড়ে" - ঘুমের বিকল্প ধান
ভাতের চিন্তায় বাধা পরে কবিতা । ভাবা যায় । শ্রমের কথা বাধা পড়ে । ঘামের কথা, ঘুমের কথা । রাজনীতির কথা চলে আসে । মিছিল চলে আসে, অসারতা কবিকে ভাবায় । খাদ্যের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে শিল্পের বাস্তবতা ।
"তবে কেন এ মৃতের মতো জেগে বসে থাকা
আর জড়তার দায়ে
পুড়ে যাচ্ছে পুরোটা শরীর
বাস্প নয়
খেদ নয় শুধু
প্রকৃতই স্বভাব পুড়ছে পৃথিবীর । " - মৃত্যু নেই, মনস্তাপ নেই
এমন ভাবে এত অল্প বয়সে কেউ মৃত্যু কে নিয়ে ভাবে ? এই ভাবনা কি কবি নিজের মৃত্যুর নাকি প্রতিদিন হেঁটে চলা আশপাশ, কবি, বাংলা কবিতা , গ্রাম বাংলা, শিল্প সম্ভাবনাময় পাঠকের কাছে এই মৃত্যুর ছবি এঁকে রেখে দিয়ে চায় কবি ।
ওর অনেক কবিতা পড়ি, ভালো লাগা কইয়েকটি কিছু কবিতার নাম ঈশ্বরকণা, খুঁটি, অনুরণন, রক্তের শুদ্ধতা জেনে , আরো অনেক । কিছু কবিতার কাছে আরো কিছু দাবী করা যায়, কিছু বহুব্যবহৃত বিষয় ও শব্দ এড়িয়ে গেলে আরো পরিষ্কার চিত্র ধরা পরে । পাঠক হিসাবে যেটা আগামীর কাছে ছেড়ে দিতেই পারি । তবে তরুন লেখক হিসাবে এতদূর আসাও এক অভিনব যাত্রা, আমি শুধু নতুন সম্ভবনার দিক দূর দিল্লি থেকে তাকিয়ে দেখতে থাকি ।
কোন কোন কবির সাথে দেখা হয়না, কবিতার সাথে যাপন হয়ে ওঠে না, একটা বোধ ক্রমে ক্রমে বেঁধে ফেলে নিমগ্ন পাঠের ভিতর । একটা একটা পাতা নতুন দিগন্ত খুলে দেয় , একটা একটা পাঠ ঘামিয়ে দেয় গা । আজ পড়ছি এক তরুন কবির বই অসম্ভব পাখিদের ওম । বইটি আমি দিল্লি বইমেলা থেকে সংগ্রহ করি ।
অসম্ভব পাখিদের ওমঃ প্রশান্ত সরকার ।
"পর্যাপ্ত আগুন পেলে, খামতি থাকে না সৎকারে
শুধু পাখিরাই ঠোঁট রেখে ঠোঁটে
নিরঙ্কুশ পুড়ে যেতে পারে "
পাখি নিয়ে কবিতা এই প্রথম নয়, কিন্তু যে পোড়াটা জ্বালাচ্ছে সেটা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ । 'পর্যাপ্ত' কথাটার উপর জোর দিলে এমন একটা ব্যালান্সের খেলা চলে আসে কবিতায় । কবিতাকে উড়িয়ে দেন এক অচেনা গন্তব্যের দিকে কিন্তু একটা টান মাটিতে থাকে ।
"জলমগ্ন মাটি জুড়ে গাছ হইয়ে থাকি
পতঙ্গ ছায়া দেখে, ছায়া , মানে পাখি " - নির্দিষ্ট জলের ছায়া থেকে ।
প্রশান্তের কবিতা এই প্রথম পড়ছি, যে ভাষাটা পাচ্ছি, বিলকুল ঝকঝকে, পরিষ্কার বিষয় আসে কিন্তু সেই ব্যালান্সটা রেখে । কল্পনা শক্তি অসাধারন, জ্বারিয়ে নেয় একটা অস্পষ্টতার আয়োজন । আসলে আলো ছায়ার একটা খেলা চলতে থাকে তার কবিতায় ।
"এভাবেই বেড়ে ওঠে রোজ
ঝেড়েবেছে সযত্নে তুলে রাখি সংসারে
অথচ ঘুমের বিকল্প ধান
চুপি চুপি রোজ ভাত বাড়ে" - ঘুমের বিকল্প ধান
ভাতের চিন্তায় বাধা পরে কবিতা । ভাবা যায় । শ্রমের কথা বাধা পড়ে । ঘামের কথা, ঘুমের কথা । রাজনীতির কথা চলে আসে । মিছিল চলে আসে, অসারতা কবিকে ভাবায় । খাদ্যের কাছে হাঁটু গেড়ে বসে শিল্পের বাস্তবতা ।
"তবে কেন এ মৃতের মতো জেগে বসে থাকা
আর জড়তার দায়ে
পুড়ে যাচ্ছে পুরোটা শরীর
বাস্প নয়
খেদ নয় শুধু
প্রকৃতই স্বভাব পুড়ছে পৃথিবীর । " - মৃত্যু নেই, মনস্তাপ নেই
এমন ভাবে এত অল্প বয়সে কেউ মৃত্যু কে নিয়ে ভাবে ? এই ভাবনা কি কবি নিজের মৃত্যুর নাকি প্রতিদিন হেঁটে চলা আশপাশ, কবি, বাংলা কবিতা , গ্রাম বাংলা, শিল্প সম্ভাবনাময় পাঠকের কাছে এই মৃত্যুর ছবি এঁকে রেখে দিয়ে চায় কবি ।
ওর অনেক কবিতা পড়ি, ভালো লাগা কইয়েকটি কিছু কবিতার নাম ঈশ্বরকণা, খুঁটি, অনুরণন, রক্তের শুদ্ধতা জেনে , আরো অনেক । কিছু কবিতার কাছে আরো কিছু দাবী করা যায়, কিছু বহুব্যবহৃত বিষয় ও শব্দ এড়িয়ে গেলে আরো পরিষ্কার চিত্র ধরা পরে । পাঠক হিসাবে যেটা আগামীর কাছে ছেড়ে দিতেই পারি । তবে তরুন লেখক হিসাবে এতদূর আসাও এক অভিনব যাত্রা, আমি শুধু নতুন সম্ভবনার দিক দূর দিল্লি থেকে তাকিয়ে দেখতে থাকি ।
No comments:
Post a Comment