Friday, February 19, 2016

ভূমিকা

সীমানা ছাড়িয়ে


বন্ধু আশরাফ মেসেজ করে জানালেন অনেক দায়িত্ব নিয়ে কবি সৈয়দ শামসুল হক কে সংখ্যা করবে পূর্ব-পশ্চিম । ওর বাড়তি উৎসাহ খুব সংক্রামক । রাত জেগে পত্রিকার কাজ করেন । অন্যদেরও জাগিয়ে রাখেন । আমার কি কাজ ? আমার বাড়ি ও একবার এসেছিলো, কবির একটা বই ও দেখতে পেয়েছিলো । আমাকেও ও সম্ভাব্য লেখকদের তালিকায় ফেলতে চায় । বলল লেখা যোগাড় করে দিতে হবে । বাংলা ভাষার কবি, বাঙ্গালী কবি , ওদের লেখা তো আমাদের টানেই । ভাষার প্রতি আগ্রহ আমাদের সীমানা পার করে নিয়ে যায় অন্য দেশে, কবিতা পড়িয়ে নেয় । 
 


দেখা দেখি


বইমেলা থেকে অনেক বই নিয়ে ফিরেছি, পছন্দের , অপছন্দের, গছানো, দুষ্প্রাপ্য । পড়ার কথা মনে পড়ছে । মনে পড়ে যাচ্ছে রাতের পর রাত কেরোসিন পুড়ে যাচ্ছে, খাতায় না ওঠা গোঁফের ছবি । বীজগণিতের বীজ কিছুতেই ধরা দিচ্ছে না, দৃষ্টি এড়িয়ে পাশের বাড়ি তামা তামা লোগে, একটা একটা ঘন্টা কালো করে তুলছে ডিম লাইটের কাচ । ছটফটে মন, পরীক্ষার কথা কে এগিয়ে দিয়েছি । খাদ্যের কথাকে চুমুর থেকে আলাদা করেছি, কোন ক্লাসে পড়ি তখন ? শুধু মনে পড়ছে হাফ প্যান্ট, প্রতিটা ক্লাসের তো এই একই সংগ্রাম । মনের ভিতর দাঁত কামড়ে লড়াই করা গদ্য ।আজও 'অব' বা 'অতি', যে কোন চেতনার উপস্থিতিকেই শুধু দেখি, বলার ভঙ্গি কে এখনো কবিতা বলে মনে হয়নি ।

কিছু কবিতার কথা


সিনেমা দেখার সুযোগ কমই পেতাম । যেটুকু ঝলক চোখে পড়তো, শ্রীদেবীর চাঁদনী বা চালবাজে দেখা কোমড়ের মোচড় আর লামহে দেখা ড্যান্স এক অপুর্ব শিল্প মনে হতো । মাধুরীর দিল দেখেছি, বেটাতে তার ধকধক, বলতে কি শরীরে একটু ফ্যাট না থাকলে এই ড্রিম গার্লরা কিভাবে হিটের পর হিট দিতো ? । ড্রিম আজও আছে, ক্যাটওয়াকে আছে ক্যাটেরিনা , কঙ্গনা রানাওয়াত জিন্সটপে জব্বর লাগে । দীপিকারা সমুদ্র সৈকতে ধুমধাম করে নেচে বেড়াচ্ছে, এদের মধ্যে জিরোর জেরে সবাই মেদ ঝরিয়ে পশ্চিমের বার্বি ডল হয়ে ঘরে ঘরে বিদ্যমান । মেদহীন যত শিল্পই আজ চোখে দেখি, মনে হয় কিছুটা বাজারী, কিছুটা ওয়েস্টার্ন , কবিতাও কি মেদহীন হয়ে যাচ্ছে না ? সময় চাইছে , ক্রিটিকস চাইছে । ডাক্তারে বলছে যে ফ্যাট কোলেস্টরেল বাড়ায়, ফ্যাটবর্জিত মাংসের কথা বলছেন । বিশুদ্ধ প্রোটিন ইনটেক শরীরকে তাজা রাখে । সেক্ষেত্রে সয়াবিনই কি বিকল্প হয়ে দাঁড়ায় না ? হয়তো । কিন্তু সয়াবিন খেলে জাত থাকে না ।


সিগনেচার


বহিরগাছি থাকাকালীন আমি বড়দের ক্রিকেট টিমে অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসাবে খেলতাম । কালে ভদ্রে ব্যাটিং পেতাম । কিন্তু যেটা এনজয় করতাম সেটা হলো প্র্যাকটিসে ও ব্রেকে আমাকো পুরো বোলিং করতে দেওয়া হতো । সবাই খুব উৎসাহ নিয়ে আমার বোলিং দেখত, অনেক দর্শক ও ভিড় করে আমার বোলিং দেখতো কারন আমি ইমরান খান, কপিলদেব, প্যাটারসন, ওয়ালস, প্রভাকর, আব্দুল কাদির, মনিন্দর সিং, রবি শাস্ত্রী, ভিভিয়ান রিচার্ডস, ড্যানী মরিশন, রিচার্ড হ্যাডলী এরকম অনেক বোলারের অ্যাকশন হুবহু রিপ্রোডিউস করতাম । সবচেয়ে বেশী তালি পড়তো আব্দুল কাদিরের লেগ স্পিনে । আজকের এই ভাগদৌড় কা জিন্দেগী কা বাজারে একে কি নাম দেবো ? বহুমুখী প্রতিভা নাকি সাক্ষরহীনতা ? যেটুকু বোধ হলো এ পর্যন্ত এসে , তা হলো "নিজের সিগনেচার আবিষ্কার করো" । আজকের বাংলা বাজার ওই ভীড়টানা অ্যাকশনকে মিমিকিরি ছাড়া কিছুই আখ্যা দেয় না ।  


No comments:

Post a Comment